নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত সাকিব
সবশেষ জিম্বাবুয়ে সফরের আগে টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ১২ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ। দলের এমন বাজে পারফরম্যান্সের কারণে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে।
জিম্বাবুয়ে সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের মতো তারকা ব্যাটসম্যানকে। অভিমানে আগেই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল।
জিম্বাবুয়ে সফরে সাকিব আল হাসান ছুটিতে থাকায় টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য অধিনায়ক করা হয় নুরুল হাসান সোহানকে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি চোটাক্রান্ত হওয়ায় শেষ ম্যাচে অধিনায়ক করা হয় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে এবং দলে ফেরানো হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে।
২৭ আগস্ট আরব আমিরাতে শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপ এবং অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করা হয় সাকিব আল হাসানকে।
২০১৯ সালে ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে নিষিদ্ধ হওয়ার আগপর্যন্ত টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক ছিলেন সাকিব। আবারো টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব পেয়েছেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।
অধিনায়কত্ব ফিরে পাওয়া প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা তো সব সময়ই গর্বের বিষয়। আমি খুবই আনন্দিত, রোমাঞ্চিত এবং নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য নিজেকে প্রস্তুত বলে মনে করি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে যুক্ত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলে ৬ বছর সহকারী কোচের কাজ করা ভারতীয় সাবেক অলরাউন্ডার শ্রীরাম।
তবে শ্রীরাম এসেই যে বাংলাদেশ দলের সব কিছু পাল্টে দেবেন- এমন আশা করা অবান্তর জানিয়ে সাকিব বলেন, আমরা মনে হয় না, এখানে খুব বেশি কিছু প্রত্যাশা করার আছে। যেহেতু তিনি (শ্রীরাম) অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের সঙ্গে পাঁচ বছর ছিলেন, আর আমাদের বিশ্বকাপটাও অস্ট্রেলিয়াতে, তার অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে আসবে। এশিয়া কাপে কতটুকু কাজে আসবে বলা মুশকিল।
সাকিব আরও বলেন, আমি যেটা বললাম যে, এখানে আমাদের সবার একটা দায়িত্ব আছে যার যার জায়গা থেকে। কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে সাপোর্ট স্টাফ, বিসিবিসহ আমরা সবাই যদি একসাথে কাজ করতে পারি, তাহলে আমার কাছে মনে হয় যে একটা পথযাত্রা শুরু হবে।
0 coment rios: